রমজান ( সওম)
রমযানের সাওম ওয়াজিব হওয়া প্রসঙ্গে
মহান আল্লাহ্র বাণী:
"হে মু’মিনগন! তোমাদের জন্য সিয়াম ফরজ করা হল, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা মুত্তাকি হও।" (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৩)
হাদিস
সহীহ বুখারী (২৩/ সাওম বা রোজা)
তালহা ইবনু উবায়দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একজন গ্রাম্য আরব রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিকট এসে জানতে চাইলেন যে, আল্লাহ তার উপর কত সালাত ফরজ করেছেন। তিনি বললেনঃ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, তবে নফল আদায় করলে তা স্বতন্ত্র। এরপর তিনি জানতে চাইলেন রোজা সম্পর্কে, রাসূলুল্লাহ বললেনঃ রমযান মাসের সাওম (রোজা) ফরজ, তবে নফল রাখলে তা স্বতন্ত্র। তিনি বলেন, “আমি আল্লাহর ফরজকৃত বিধানের কিছু কমাব না বা বাড়াব না।” রাসূলুল্লাহ বললেনঃ "সে সত্য বলে থাকলে সফলতা লাভ করল।"
সাওমের ফযীলত
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ "সিয়াম ঢাল স্বরূপ। কেউ যেন অশ্লীলতা বা মুর্খতার কাজ না করে। কেউ যদি তার সাথে ঝগড়া করে বা গালি দেয়, সে যেন দুইবার বলে, ‘আমি রোজা রেখেছি’। রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের গন্ধের চাইতেও উৎকৃষ্ট। সে আমার জন্য আহার, পান ও কামাচার পরিত্যাগ করে, আর সাওমের পুরস্কার আমি নিজেই প্রদান করব।"
রমযানের রোজার ফরজ হওয়ার কারণ
বছরের বিভিন্ন সময়ে রোজা রাখলেও কেবল রমযান মাসের রোজা পালন করা ফরজ। রোজা কেবল উম্মতে মুহাম্মাদ (সাঃ) জন্য ফরজ নয়, বরং তা অতীত নবী-রাসুলদের উম্মতদের জন্যও ছিল। তবে তাদের রোজার সময় ও পদ্ধতি ভিন্ন ছিল। শরিয়তের পরিভাষায়, সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাওয়া, পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকাকে রোজা বলে।
উপসংহার
রমযানের রোজা আত্মসংযম ও তাকওয়ার অন্যতম মাধ্যম। এটি কেবল ব্যক্তিগত উপকারের জন্য নয়, বরং সামাজিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির পথও সুগম করে।
Comments
Post a Comment